চুয়াডাঙ্গায় ক্রমেই শীত বাড়ায় বড় প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়। বিশেষ করে রিকশাচালক ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে । এদিন সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমের এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ১২দশমিক ৬ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে খেটে-খাওয়া মানুষেরা সবাই পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। অপরদিকে সকালে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা ও সকালে শীত অনুভূত অনেক বেশি হচ্ছে। শীত প্রকোপ বাড়তে থাকায় চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালে বাড়াছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা।
রিকশা চালক সেলিম হোসেন বলেন, আজ সকালে প্রচন্ড শীত। বাইরে রিকশা নিয়ে বেড়ালাম অথচ যাত্রী নেই। সকালের দিকে কুয়াশা থাকছে। আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা আরো বাড়াছে। এই শীতে যাত্রী নেই। ফলে আয় রোজগারে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পথচারি রফিকুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। ফলে শীতের তীব্রতা বাড়াছে। সারাদিনের মধ্যে রোদ দেখা দিলেও শীতের তীব্র কমছে না। ঠান্ডা বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত অনুভুত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, সকাল ৬টায় রেকর্ড করা ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে সকাল ৯ টায় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর