ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ছবিটির সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের হুবহু মিল রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে এবং তাকে উপযুক্ত পুরস্কৃত করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় গত দুই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। শনিবার ভোর ৪টা ৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, বহুরূপী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান কীভাবে ওসমান হাদির ‘ইনার সার্কেলে’ প্রবেশ করেছিল—তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তিনি লেখেন, বিভিন্ন সময়ের ছবিগুলো যে একই ব্যক্তির—তা সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজে শনাক্ত করা কঠিন।
তিনি আরও লেখেন, “একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান আজ মৃত্যুশয্যায়। মহান আল্লাহর কৃপায় তিনি যেন পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসেন—এই দোয়া করি। অন্তত এই মুহূর্তে তাকে সমালোচনা থেকে বিরত থাকাই মানবিক।”
এর আগে মধ্যরাত ৩টা ৯ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের প্রশ্ন তোলেন, যারা দাবি করছেন গুলির ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ জড়িত নন—তারা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন রাষ্ট্রপতির পুত্র কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার তোলা ছবিগুলোর বিষয়টি।
এদিকে শনিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে দেওয়া সর্বশেষ পোস্টে এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক দাবি করেন, ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে কারা গুলি করেছে—সে বিষয়ে রহস্য শক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে উন্মোচিত হয়েছে এবং বাকি তথ্যও সময়মতো প্রকাশ পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ঘটনার পর দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, নিষিদ্ধ চক্র ও তাদের আশ্রয়দাতারা যদি এ ধরনের সহিংসতা চালাতে সক্ষম হয়, তাহলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর