
নতুন রেল সেতু চালু হওয়ায় যমুনা বহুমুখী সেতুর ওপর পরিত্যক্ত রেলওয়ে ট্র্যাক অপসারণের দাবি জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে যান চলাচলের সুবিধার্থে সেতুর দুটি লেন প্রসস্থ করার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে সেতু বিভাগে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর সেতুর ওপর দিয়ে রেল চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নতুন রেল সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চলতি বছর ১৮ মার্চ নবনির্মিত রেল সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকে রেল চলাচল সেখানেই স্থানান্তরিত হয়েছে।
ফলে যমুনা বহুমুখী সেতুর ওপরের রেললাইনটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। রেললাইনটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৩ মিটার এবং এর স্লিপারগুলোতে মরিচা ধরেছে। বর্তমানে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য মাত্র দুটি লেন রয়েছে, যার প্রস্থ ৬.৩ মিটার—যেখানে নিয়ম অনুযায়ী লেনের সর্বনিম্ন প্রস্থ হওয়া উচিত ৭.৩ মিটার।
যমুনা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, "এই পরিত্যক্ত রেললাইনটি সরিয়ে ফেললে সেতুর লেন দুটির প্রস্থ বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে যানজট ও দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা সেতু বিভাগে পাঠানো হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন যমুনা সেতু দিয়ে ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে, যা উৎসবকালে তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। সেতুর অব্যবস্থাপনার কারণে যাত্রী ও চালকরা দীর্ঘ যানজটে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "যমুনা সেতুর ওপর থেকে পরিত্যক্ত রেললাইন অপসারণ ও লেন প্রসস্থ করার প্রস্তাব আমরা ১৬ মার্চ সেতু বিভাগে পাঠিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টি দ্রুত দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর