নেত্রকোনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে।

ওই কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে আসা লোকজনদের দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবিসহ হয়রানির অভিযোগে দুদক এই অভিযান পরিচালনা করে। আজ, বুধবার দুপুরে অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. ভুলু মিয়া।

স্থানীয় বাসিন্দা, বিআরটিএ কার্যালয় ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা বিআরটিএ কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা লোকজনদের কাছ থেকে ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দালাল চক্রের মাধ্যমে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাহিদা মত ঘুষ না দিলে গ্রাহকদের নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। এ প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় বিআরটিএ নেত্রকোনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক জিএম নাদির হোসেন উপস্থিত না থাকলেও মোটরযান পরিদর্শক রুহুল আমিনসহ অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান চলাকালে কার্যালয়ের আশপাশের কয়েকটি ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটারের দোকানসহ বিকাশের দোকানে তল্লাশি চালিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ভুলু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, "ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবি, গ্রাহক হয়রানি, অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন, দালাল শ্রেণির দৌরাত্ম্যসহ নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আমরা বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণাদি পেয়েছি। এরপর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"

সালাউদ্দিন/সাএ