
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের খালি জায়গায় ৮৬৯টি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুটি পলাশ গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান এবং সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল্লাহ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও পূবালী ব্যাংক বাকৃবি শাখার কর্মকর্তারা।
পূবালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মোট নয়টি স্থানে ১৯ প্রজাতির গাছের চারা রোপণের জন্য ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৫৫ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রোপণযোগ্য গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে—মেহগনি, সেগুন, থুজা, পলাশ, কাঠ গোলাপ, টগর, রঙ্গন, বকুল, দেবদারু, হিজল, নিম, নাগেশ্বর চাপা, মুসান্ডা, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু, জারুল ও পাতাবাহার।
পূবালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, “পূবালী ব্যাংক সবসময়ই সমাজ ও পরিবেশবান্ধব নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বাকৃবিতে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।”
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বৃক্ষরোপণ আমাদের নিয়মিত কাজ। আমি অনুরোধ করবো, প্ল্যান্ট সেন্টারে যেন গাছের প্রজাতি, বয়স, ফুল-ফল আসার সময় ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষণ করা হয়, যা ভবিষ্যৎ গবেষণায় সহায়ক হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কৃষি অনুষদকে আহ্বান জানাই যেন তারা আরও বেশি ফলজ গাছ রোপণ করে, যাতে শিক্ষার্থীরাই ফলভোগ করতে পারে। এছাড়া, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গাছের বৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত-কোন গাছ দীর্ঘজীবী, কোনটি পরিবেশবান্ধব কিংবা কোনটিতে কোনো ক্ষতিকর দিক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।”
তিনি ক্যাম্পাসের পরিবেশ, জলবায়ু ও সৌন্দর্য বিবেচনায় বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা ও গবেষণার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর