যশোরের শার্শায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুনের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ ৯ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানা শার্শার টেংরা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার জামতলা টেংরা হাইস্কুলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের পাশে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে দক্ষিণ বুরুজ বাগানগামী মাটির রাস্তার ওপর থেকে স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সবুজ নামের এক যুবক মারা যান। আহত রাজু (২২) নামের আরেকজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তদন্তের সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, নিহত সবুজ, রাজু ও তাদের সঙ্গী কালু ঘটনার রাতে মাঠে কলাবাগান পাহারা দিচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত সোহেল রানা ও তার সহযোগী আল আমিন ওই পথ দিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সবুজ তাদের গায়ে টর্চলাইট মারেন এবং দাঁড়াতে বলে পরিচয় জানতে চান। তারা নিজেদের দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে বাবুর লোক বলে পরিচয় দেয়। বাবুকে ফোন করতে চাইলে সবুজ ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে সোহেল রানা তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে প্রথমে রাজুকে আঘাত করেন এবং পরে সবুজ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, আটক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামি আল আমিনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর