
শেরপুর উপজেলায় এক রাতে তিনটি পৃথক স্থানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়ারপুর গ্রামের লিটন মিয়া বুধবার সকালে বাড়ি তালা দিয়ে চোমরপাথালিয়া এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে যান। প্রতিবেশীরা বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তাকে জানান যে, তার বাড়ির দরজা খোলা। তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের সবকিছু তছনছ করা হয়েছে। আলমারি ও শোকেস ভেঙে চোরেরা ২ লাখ টাকা নগদ ও ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
একই রাতে উপজেলার ছোনকা বাজারে বিশ্বরোড সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে বাসস্ট্যান্ডের পাশে ‘মাহি-রুমানা ভ্যারাইটি স্টোর’ নামের একটি মনোহারি দোকানেও চুরি হয়। দোকানের টিনের চালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে চোরেরা।
দোকান মালিক রিপন শেখ জানান, তিনি রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। সকালে এসে দেখেন দোকানের পেছনের টিন কাটা। ক্যাশবাক্স খুলে দেখেন রকেটের দুই লাখ টাকা ও দোকানের ক্যাশ মিলে প্রায় তিন লাখ টাকা চুরি হয়েছে। এছাড়া উন্নত ব্র্যান্ডের সিগারেটসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও একই রাতে ছোনকা বাজারের ভেতরে মাছ হাটি সংলগ্ন মো. মুন্টু মিয়ার সোনার দোকানেও চুরি হয়। দোকানের টিনের বেড়া কেটে প্রায় ৪ আনা স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা চুরির স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের কাজ করছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এক রাতে তিনটি বড় চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মুঈনুদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর