পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের উপশহর আলমাদায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাহবুবুল আলম (৪২) নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের দোকানে কর্মরত অবস্থায় এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে হত্যা হতে দেখেছেন মাহবুবুলের স্ত্রী এবং ১০ ও ১৪ বছর বয়সী দুই মেয়ে। ঘটনার পর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় কালো পোশাকে মুখোশ পরা ১৬-১৭ বছর বয়সী দুই যুবক মাহবুবুলের দোকানে ঢুকে লুটপাটের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে তাদের একজন মাহবুবুলের বুকে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

প্রায় তিন বছর আগে ইংল্যান্ড থেকে সপরিবারে পর্তুগালে পাড়ি জমিয়েছিলেন মাহবুবুল। নিহতের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামে। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নান্না মিয়া।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও জরুরি সেবা সংস্থা। তবে হামলাকারীরা এরই মধ্যে পালিয়ে যায়। পর্তুগালের জুডিশিয়াল পুলিশ (PJ) ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

হত্যাকাণ্ডের পর লিসবনসহ পুরো পর্তুগালের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক ও নিরাপত্তা উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রবাসীরা দ্রুত বিচার ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।