
বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান সখীপুরের বিভিন্ন সরকারি অফিসে তদবিরকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো নেতা তদবিরে ব্যস্ত হলে নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাকে তদবির করতে হবে।
শুক্রবার সখীপুর ডাকবাংলা মাঠে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আযম খান বলেন, “সখীপুরে অনেক নেতা থানায়, ইউএনও অফিস, এসিল্যান্ড অফিস ও ঢাকায় তদবিরে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। আমি তাদের সাবধান করছি। যারা তদবির করতে চান, তারা আমার কাছে আসবেন এবং পদ জমা দিয়ে তদবির করবেন। পদে থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কোনো নেতা তদবির করতে পারবেন না। আমি ওসি সাহেবকে বলে যাব, কোনো নেতা যেন থানায় তদবির করতে না আসেন।”
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও তদবিরবাজদের কোনো স্থান হবে না। কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে, তাকে দল থেকে বের করে দিয়ে পুলিশে দেওয়া হবে। এসময় তিনি নেতা-কর্মীদের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
আহমেদ আযম খান বলেন, একটি দল ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমেছে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছে। তারা বলছে, তারা বেহেশতের টিকিট নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, বেহেশতের টিকিট দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ।
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা ড. রেজওয়ান আহসানকে উদ্দেশ্য করে আযম খান বলেন, আটিয়া বন অধ্যাদেশ ১৯৮২ একটি কালো আইন। জনগণের ভোটে সংসদে যেতে পারলে এই কালো আইন বাতিলের বিল আনা হবে। তবে, এর আগ পর্যন্ত সখীপুরের মানুষের ঘর-বাড়ি ভেঙে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ না করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম মাস্টার, মোঃ আমজাদ হোসেন মাস্টার, পৌর বিএনপির সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, সম্পাদক মীর আবুল হাসেম আজাদ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: সবুর রেজা, বিআরডিবি চেয়ারম্যান ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর