
টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মাইনি নদীর পানি বেড়ে মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বড়মেরুং অংশে আঞ্চলিক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালার সঙ্গে রাঙামাটির লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
মাইনি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় দুই তীরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ডুবে গেছে। মেরুং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তত ২৩টি পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিনা চাকমা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের জন্য রান্না করা ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
কবাখালী ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ মিলনপুর এলাকার অন্তত ১৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরও ৮টি পরিবার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জানান, আশ্রয়গ্রহণকারীদের জন্য রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে, খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালায় ঝুঁকিপূর্ণ ও পাহাড়ধসপ্রবণ এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। যুব রেড ক্রিসেন্ট দীঘিনালা উপজেলা দলের উপ-দলনেতা দুর্জয় বড়ুয়া শান্ত জানান, অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকি থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে এবং তাদের দুর্যোগ সাড়া প্রদান টিম প্রস্তুত রয়েছে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা প্রবণ ইউনিয়নসমূহের আরও কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হতে পারে এবং দীঘিনালা থেকে সাজেকের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকার জানান, জেলাব্যাপী বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসমূহ পরিদর্শন করে নাগরিকদের সেসব এলাকা থেকে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে অতিরিক্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা এবং জরুরি সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর