
গ্রীষ্মকালীন ফল কাঁঠালের ভরা মৌসুমে গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছেন। একসময় ফেলনা হিসেবে গণ্য হওয়া এই বিচি এখন গ্রামের বহু মানুষের উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামে আইনুল হক ও গাজী মাহমুদসহ আটজন ব্যবসায়ী কাঁঠালের বিচির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা শ্রীপুর এবং এর आसपासের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করেন। এরপর বিচিগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করেন।
স্থানীয়রা জানান, আগে কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণে তেমন আগ্রহ ছিল না। তবে এখন ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকে কাঁঠালের বিচি কেনায় গ্রামের মহিলারাও এটি সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন এবং বাড়তি উপার্জন করছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা গ্রামে গ্রামে লোক পাঠিয়ে কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করেন। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪-৫ টন কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেগুলো পরিষ্কার করে শুকানো হয়।
ব্যবসায়ী আইনুল হক বলেন, "আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে কাঁঠালের বিচি কিনি। এতে তারাও লাভবান হচ্ছেন।" গাজী মাহমুদ জানান, প্রক্রিয়াজাত করার পর এসব বিচি ঢাকার কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়, যেখানে প্রতি কেজি ১৭-১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, "শ্রীপুরে কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হওয়ায় একটি ভালো খবর। এই সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করতে কৃষি বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।"
সর্বশেষ খবর
এক্সক্লুসিভ এর সর্বশেষ খবর