
মানিকছড়িতে মাদ্রাসাছাত্র মো. সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৬ জুলাই উপজেলার বুদংপাড়া এলাকার একটি ঝিরি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় সোহেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই রাতে উপজেলার ছদুরখীল এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোহেল (১৪) নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা অজ্ঞাত পরিচয়ে অপহৃতের মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে।
এ ঘটনায় অপহৃতের নানা গত ১১ জুলাই থানায় অভিযোগ করলে কসমকার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা, গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন ও মো. ইয়াছিন মিয়াকে আটক করে যৌথবাহিনী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করলেও সোহেলের সন্ধান দিতে পারেনি।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় আরও দুইজনকে আটক করা হলেও ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মংসানু মারমা (৩৫) ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। ১৯ জুলাই উপজেলার গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে মংসানু মারমাকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মংসানু মারমা সোহেলকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া, শফিউল্লাহ নামের আরেকজন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী মংসানু মারমাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার সকালে আটককৃতদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীর পরিবার ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে হেডম্যান সাথোয়াই চৌধুরী, পাড়া কার্বারী অংসাজাই মারমা, ইউপি সদস্য প্রিয়লাল চাকমা, আব্রে মারমা, গ্রাম সর্দার মোসলেম উদ্দিন, আবদুর রহিম, আবূুল জব্বার, মোকতাদের হোসেন, মামুন হোসেন ও মো. সাকিব বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামিদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর