
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়াকে প্রায় বশেই এনেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আহসান হাবিব উজির। ৪০তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দিলেও বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করেননি তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে কর্মরত এই চিকিৎসক এ পর্যন্ত টানা সাতটি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চারবার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এর মধ্যে তিনবার প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়েও স্বেচ্ছায় লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। ৪০তম ও ৪২তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি।
আহসান হাবিব উজিরের পৈতৃক নিবাস মির্জাপুর উপজেলার আটিয়া মামুদপুর গ্রামে হলেও তিনি বড় হয়েছেন মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটী এলাকায়। বাদশা মিয়া ও হেলেনা আক্তার দম্পতির ছোট ছেলে তিনি। পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তার স্ত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
গত বছরের ৫ মার্চ চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রীর হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন আহসান হাবিব উজির। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ট্রেনটি অনির্ধারিত যাত্রা বিরতি দিয়ে ওই যাত্রীকে তার মায়ের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনা দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সে সময় ট্রেনে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রতিটি ট্রেনে ফার্স্ট এইড বক্স ও রেলস্টেশনগুলোতে চিকিৎসা সেবা রাখার দাবি জানান।
আহসান হাবিব উজির জানান, প্রথম দিকে জেনারেল ক্যাডারে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ক্যাডারেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর