
বগুড়ার শেরপুরে নাশকতা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সিরাজুল ইসলামকে আটকের সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৮ পুলিশ আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। আসামিরা হলেন নজরুল ইসলাম লিটন (৩৫), সিরাজুল ইসলাম (৫৫), আমিরুল ইসলাম রনি (২৩), রায়হান কবির পলাশ (২৭), গোলাপ হোসেন (৩৫), নুরুল ইসলাম নুর (৫৫), জাফর ইকবাল (৪০), সাইদুর রহমানসহ (৫৫) অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে শেরপুর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ধুনট মোড় এলাকায় মাদক ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতারে অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর থানা পুলিশের এসআই তোফাজ্জল হোসেন ও এসআই সরাফতের নেতৃত্বে একটি দল শেরুয়া দহপাড়ায় অভিযান চালায়। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের হামলা, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়েরকৃত মামলার ১০৭ নং এজাহারভুক্ত আসামি, শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশ সদস্যরা সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে থানায় ফেরার পথে তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটন (৩৫), ভাতিজাসহ পরিবারের প্রায় ২০-২৫ জন নারী ও পুরুষ সদস্য আকস্মিকভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এই সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হন।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং ওই আসামীর ছেলে নজরুল ইসলাম লিটনকে আটক করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ১ নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম লিটনকে পুনরায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় দণ্ডবিধির ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/৩৫৩/১৮৬/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মঈনুদ্দিন বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। প্রসঙ্গত, গত বছর (৮ অক্টোবর) সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করলে একই কায়দায় মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকায় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর