
কক্সবাজারের উখিয়ায় সাংবাদিকের বসতভিটা দখলের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে পরিচিত মাহফুজ উদ্দিন বাবু ও তাঁর দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে বয়স বিবেচনায় জামিন পেয়েছেন আরেক আসামি আলা উদ্দিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ উদ্দিন মাহমুদের আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ জুন ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এর অধীনে দায়ের করা মামলাটি (নম্বর: সি আর-২২১/২০২৫) আমলে নিয়ে চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন আদালত।
সমনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মাহফুজ উদ্দিন বাবু, তাইমুন উদ্দিন, তাইফুর উদ্দিন ও আলা উদ্দিন চৌধুরী। আজ শুনানির সময় আলা উদ্দিনের বয়স বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর হলেও বাকিদের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেকপাড়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায় ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এ সময় সাংবাদিকের স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে।
উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদ বলেন, হঠাৎ কয়েকজন লোক আমার বাড়িতে ঢুকে নিজেদের মালিকানা দাবি করে হামলা করে। আমার স্ত্রীর ওপর তারা শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এরপর নিরাপত্তাহীনতায় আদালতের দ্বারস্থ হই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন হাবি ড্রাইভারের ছেলে মাহফুজ উদ্দিন বাবু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
ছৈয়দ করিম নামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, এরা শুধু জমি না, মানুষ গিলতেও পিছপা হয় না। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব হচ্ছে, অথচ কেউ কিছু বলে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবু ও তাঁর সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভীতি ও প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মৌখিক ও লিখিত একাধিক অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল সীমিত।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রয়োগ করে এই মামলায় আদালতের হস্তক্ষেপ একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। তবে সতর্ক করে তাঁরা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ না হয়, তাহলে এই ধরনের ভূমিদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
সর্বশেষ খবর