
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ'র শ্বাসরোধে হত্যা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভিসেরা রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। রবিবার (০৩ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটায় ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন জমা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা এই সুপারিশ করেন।
এসময় ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য। আমাদের সদস্যরা দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন। আমরা সংশ্লিষ্টসহ অন্তত শতাধিক জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তাছাড়া ময়নাতদন্ত, সুরতহাল ও ভিসেরা রিপোর্টের পাশাপাশি তার ফোন কল লিস্ট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সব তথ্য ক্রস চেক করে ফাইনাল রিপোর্ট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, ১৬ জুলাই বিকেল পৌঁনে ৫টা থেকে লাশ ভেসে উঠার মধ্যে সাজিদের অবস্থানের বিষয়ে 'ট্রেস' পায়নি তদন্ত কমিটি। তবে সাজিদের মৃত্যুটি স্বাভাবিক নয় বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছেন তারা।
এসময় কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, সদস্য শাহ আজিজুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে সাজিদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৃথক দুই কমিটি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে ২১ জুলাই প্রকাশিত ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মৃত্যুর আনুমানিক সময় উল্লেখ থাকলেও মৃত্যুর ধরন ও কারণ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি। ফলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য। ৩ আগস্ট ভিসেরা রিপোর্টে সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্বাক্ষরকারী মেডিকেল অফিসারও এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর