
৬ দিনেও পরিচয় মেলেনি বুড়িগঙ্গায় পাওয়া চার মরদেহের। আলাদা ঘটনা হলেও ৪ জনকেই হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এখনো কেউ মরদেহের দাবির জন্য আসেনি। মরদেহ পচে যাওয়ায় নেওয়া সম্ভব হয়নি আঙ্গুলের ছাপও। তবে, পরিচয় শনাক্তের জন্য রাখা হয়েছে ডিএনএ নমুনা।
২৩ আগস্ট বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর মাদারিপুর ঘাটে সামনে পরস্পরের সাথে হাত বাঁধা অবস্থায় তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাথে প্যাঁচানো ছিল ৩০ কেজি চালের বস্তা।
একইদিন কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় গলায় কাপড় প্যাঁচানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক ঘণ্টা পরে একইস্থান থেকে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
৪ জনকেই হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। তবে, ঘটনার ৬ দিন পার হলেও এখনো কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নৌ–পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৫–৬ ঘণ্টার ব্যবধানের চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছি আমরা। নদী খরস্রোতা থাকায় যেকোনো জায়গায় একটি মরদেহ পড়লে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায়।
এদিকে, চারজনের খোঁজে এখনো আসেনি কেউই। তাই বেগ পেতে হচ্ছে পরিচয় শনাক্তে। নিখোঁজদের ব্যক্তিদের শনাক্তে বিভিন্ন থানায় জিডি দেখে তদন্ত করছে নৌ পুলিশ।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুটি হত্যা মামলা আমরা নৌ পুলিশের পক্ষে করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় জিডি চেক করেছি। বেতার বার্তা দিয়েছি। পাশ্ববর্তী থানাগুলোতে চিঠিও পাঠিয়েছি।
নৌ-পুলিশের তথ্য বলছে, গত ১৯ মাসে নদীতে ৭৪১ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হলেও মেলেনি ২৩৩ জনের।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর