
যশোর আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম হোতা ও ৩০ মামলার আসামি শহিদ চক্রের আরও চার সদস্যকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। একইসাথে তাদের হেফাজত থেকে সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুলাই যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে এ চক্রের অন্যতম প্রধান হোতা নরেন্দ্রপুরের শহিদুল ইসলাম শহিদকে ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আরও ছয়জনকে আটক করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় চারটি মোটরসাইকেল।
একই চক্রের আরও চার সদস্যকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের তামিম খান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মুরসালিন, একই উপজেলার সোনাকুড়া গ্রামের আজিম শিকদার এবং কাশিয়ানী উপজেলার বাট্রাইধোবা গ্রামের হাসানুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ জুলাই যশোরের পালবাড়ি মোড় এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির প্রস্তুতিকালে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ছয়জনকে আটক করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় আরও চারটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই রঞ্জন কুমার বসু তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে চোরাই দুটি ইয়ামাহা আর–১৫,তিনটি সুজুকি গিক্সার,একটি পালসার, এবং একটি ইয়ামাহা এফজেড ভি৩ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আটক চারজনের মধ্যে তামিম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। আদালত চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবীব, ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর