
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রিসার্চ সেলের কম্পিউটার অপারেটর কায়সার হামিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা আশিষ চন্দ্রশীল বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ কোর্টে মামলা নম্বর ৫/২০২৫ হিসেবে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত কায়সার হামিদ চৌধুরী (সাময়িক বরখাস্ত) ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ব্যক্তি ভ্যাট ও ট্যাক্সের নামে ৬০ লাখ টাকা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে আরও ৮০ লাখ টাকা—সর্বমোট ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছেন।
এর আগে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর ২০২৫ সালের ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কায়সার হামিদ চৌধুরীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। পরে ৪ জুন ২০২৫ তারিখে আইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে কায়সার হামিদ চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয় এবং আরও উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে বলেও কমিটি সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা আশিষ চন্দ্রশীল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযুক্তের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর কায়সার হামিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেখছে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর