
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশজুড়ে সন্দেহ ও সংকট দেখা দেবে। তাই জামায়াত নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “বিগত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষ তাদের ভোট দিতে পারেনি, তাই সবাই নির্বাচনে আগ্রহী।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন প্রসঙ্গে ডা. শফিক বলেন, একই দিনে দুটি নির্বাচন হলে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অতীতে তিনবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, সর্বোচ্চ ২৬ দিনের এবং সর্বনিম্ন ১৮ দিনের নোটিশে। জামায়াতের পক্ষ থেকে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনের দাবি জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিত্বমূলক (PR) পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, “২৭টি উন্নত দেশসহ বিশ্বের ৯১টি দেশে PR পদ্ধতি চালু রয়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় এটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দাবি যৌক্তিক প্রমাণিত হলে সরকার মেনে না নিলে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যিনি PR বুঝেন না, তিনি এর ভালো-মন্দ বলতে পারেন না। আগে জানতে হবে তারপর মন্তব্য করতে হবে।”
১৯৭১ সালের ইতিহাস ও জামায়াতের ভূমিকাসহ অতীত বিষয়ে ডা. শফিক বলেন, “জামায়াতের মানুষের দ্বারা পরিচালিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। যেখানে ৯৯টা ভালো কাজের সাথে ১টা ভুল সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচারের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “শুধু সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য নয়, যে কেউ অপরাধ করলে স্বচ্ছ ও ন্যায বিচারের অধিকার থাকবে। ভুক্তভোগীদের ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
এনসিপি সম্পর্কে তিনি বলেন, “তাদেরকে আমাদের ছোট ভাই-বোন হিসেবে দেখা উচিত। অভিজ্ঞতা ও বয়সের কারণে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডা. শফিক বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারতকে রেসপেক্ট করতে চাই, ঠিক তেমনি বাংলাদেশও সেই রেসপেক্ট আশা করে। যে চুক্তি যৌক্তিক এবং জাতির কল্যাণে, সেগুলো সমর্থনযোগ্য। কিন্তু যা দেশের জন্য ক্ষতিকর, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে।”
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর