দেশের পুরো ব্যাংক খাতে মাত্র তিন মাসে মূলধন পর্যাপ্ততা (Capital Adequacy) কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে, যেখানে ন্যূনতম থাকার কথা ১০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট’-এর জুন প্রান্তিকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাত বর্তমানে মাঝারি আকারে ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা ছিল ৬.৭৪ শতাংশ, যা তিন মাসে কমে প্রায় ২.২৪ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় সাড়ে চার শতাংশে। অর্থাৎ, ব্যাংকগুলো এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, কারণ নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংককে ঝুঁকি-ধারিত সম্পদের কমপক্ষে ১০ শতাংশ মূলধন ধরে রাখতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাস অন্তর আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সবশেষ প্রকাশিত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যাংকের বড় দুই ঋণগ্রহীতা খেলাপি হয়ে পড়ে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকটি গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়বে।
তবে ইতিবাচক দিক হলো, একই সময়ে ব্যাংক খাতের মোট সম্পদ (assets) বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাজেল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কিছু সূচক এখনো স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, তবে মূলধন ঘাটতি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর