গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় রহিমা বেগম (৩৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই কক্ষ থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় তার স্বামী ইমরান হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় দম্পতির ১৬ বছরের মেয়েকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। তার স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমরান হোসেন ও রহিমা বেগম তাদের মেয়েকে নিয়ে কোনাবাড়ীর নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় মাংস বিক্রির কাজ করতেন, স্ত্রী ঘর সামলাতেন। আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা থেকে পুলিশ ভোরে তাদের লাশের সুরতহাল করতে যান। এ সময়ে পুলিশ অর্ধগলাকাটা ইমরান হোসেনকে হাত নাড়াচাড়া করতে দেখেন। পরে তাকে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভোরে খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা বেগমের মরদেহ এবং অর্ধগলাকাটা অবস্থায় জীবিত ইমরানকে দেখতে পান। পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই দম্পতির মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে টিকটক করে। সে জানিয়েছে, তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন এবং পরে তিনি নিজেই নিজের গলা কাটেন। এটা সে নিজের চোখেই নাকি দেখেছে। কিন্তু তার কথা আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। যার কারণে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।’
নিহত রহিমা বেগমের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর