পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছে, আগামী ২ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা হলে এবং সে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৪ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার না করা হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী ২ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন না এলে এবং ৪ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার না করলে আমরা ল্যাব-ক্লাস বর্জন করব। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানানো হবে।’
প্রক্টর পরে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকতে বলেছে এবং দ্রুত প্রতিবেদনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্তের জন্য তোলা হবে।
প্রক্টরের আশ্বাসের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে। এর আগে সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ অভিযোগ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয়—দুই পর্যায়েই এ ঘটনায় গাফিলতি দেখা যাচ্ছে।’
ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মাদ জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর রাতে রসায়ন বিভাগের কয়েকজন পুরুষ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ রাজধানীর শেওড়া পাড়ায় অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। পরদিন আদালতে হাজির করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর