ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় তুরস্কের কারাবুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নোবিপ্রবির প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। অন্যদিকে কারাবুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ফাতিহ কিরিসিক।
এ প্রোগ্রামের আওয়ায় নোবিপ্রবির বায়োলজিক্যাল এন্ড রিলেটেড সায়েন্স, এনভায়রনমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেডস, ফিজিক্যাল সায়েন্স, সোশ্যাল এন্ড বিহ্যাবিওরাল সায়েন্স, বিজনেস এন্ড এডমিনিস্ট্রেশন, ট্রাভেল, ট্যুরিজম এন্ড লেইজার, ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ডের পিএইচডি শিক্ষার্থীরা তুরস্কের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। প্রথমত ১ জন পিএইচডি শিক্ষার্থী ২ মাসের জন্য পড়ার সুযোগ পাবেন। একই সাথে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ফ্যাকাল্টি নোবিপ্রবিতে আসবেন।
নোবিপ্রবি ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশান এন্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স (আইসিইএ) অফিসের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশান এন্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক ও ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইসিইএ) ড. খালেদ মেহেদী হাসান সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, "ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় তুরস্কের স্বনামধন্য কারাবুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা ও গবেষণার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিশ্বায়নের এই যুগে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য।
এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের পিএইচডি পর্যায়ের গবেষকরা বিজ্ঞান, প্রকৌশল, পরিবেশ, ব্যবসা এবং সামাজিক বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার সুযোগ পাবেন, যা তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে। একই সাথে, কারাবুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত ফ্যাকাল্টি সদস্যদের অভিজ্ঞতা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।"
তিনি আরো বলেন, "আমি বিশ্বাস করি, এই পারস্পরিক শিক্ষার্থী ও স্টাফ বিনিময় কার্যক্রম কেবল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে এবং বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।”
উল্লেখ্য, এই চুক্তির আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং স্টাফ বিনিময়ের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও উভয় প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় এ চুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর