বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পাইকারি বাজারে ফুলকপির দামে চরম ধস নেমেছে। উপজেলার সর্ববৃহৎ সবজি বাজার 'ফুলবাড়ী বাজারে' সরবরাহ উপচে পড়লেও ক্রেতা সংকটে কৃষকরা প্রতি কেজি ফুলকপি পাইকারিতে মাত্র ৩ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম এতটাই কমেছে যে, বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি মাত্র ৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফুলবাড়ী পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুরো বাজার শীতকালীন সবজিতে ঠাঁসা। ভোর থেকে কৃষকরা ভালো দামের আশায় সবজি নিয়ে বাজারে এলেও ক্রেতা সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ফুলকপি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ছে মাত্র ৩ টাকা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর শীতকালীন শাক-সবজি ১১৩০ হেক্টর জমিতে অর্জিত হয়েছে, সেখানে ফুলকপি ১১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
কৃষক সোবাহান, ইব্রাহিম খলিল, রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি ফুলকপি চাষ করতে তাদের খরচ হয়েছে অন্তত ৫ থেকে ৭ টাকা। চড়া দামের সার, বীজ ও কীটনাশক ব্যবহার করে তারা আবাদ করেছেন। কিন্তু বর্তমান বাজারে বিক্রি করে সেই খরচের অর্ধেকও উঠছে না। তারা আরও জানান, বর্তমান দামে সবজি বিক্রি করে মাঠ থেকে সবজি তোলা ও বাজারে আনার পরিবহন খরচ জোগানোই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, বাজারে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত সরবরাহ এবং আধুনিক কোনো সংরক্ষণ বা মজুত সুবিধা না থাকায় পচনশীল এই সবজি দ্রুত ও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।
গত এক মাস আগেও যে ফুলকপি মণপ্রতি ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা ছিল, তা এখন নামমাত্র দামে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এ বছর গাড়িদহ, খামারকান্দি, মির্জাপুর ও খানপুর ইউনিয়নে ফুলকপির ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। তবে বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি না থাকায় এবং চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় দামের এই নিম্নমুখী অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর