চোখে দেখতে পান না, তবুও দেশ–বিদেশের সব ধরনের খবর কণ্ঠে তুলে ধরতে পারেন তিনি। ইংরেজি ও বাংলা খবর মুখস্থ বলে সাবলীলভাবে শোনান। বলছি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এমাদুলের কথা।
এমাদুলের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায়। তার বয়স আনুমানিক ২৯ থেকে ৩২ হবে।
হাটের ভেতরে এমাদুল যেন এক আনন্দের নাম। মানুষকে একটু হাসাতে পারাটাই তার কাছে বড় প্রাপ্তি। চোখে দেখতে না পেলেও কণ্ঠে রয়েছে অদম্য আত্মবিশ্বাস। সেই কণ্ঠেই তিনি খুঁজে পান বেঁচে থাকার পথ, আনন্দ দেন মানুষকে।
এমাদুল শুধু খবরই পড়েন না, কণ্ঠে অনুকরণ করেন বিভিন্ন পাখি ও পশুর ডাক। মোরগের ডাক, কুকুরের ডাক, গরু ও ছাগলের ডাক—সবই নিখুঁতভাবে তুলে ধরেন তিনি। এর পাশাপাশি গেয়ে শোনান নানা গান। যেন তার কণ্ঠের জাদু কোনো কিছুতেই থেমে থাকে না।
একটি খবর পড়ার সময় এমাদুলকে বলতে শোনা যায়,“(এদিকে আজ দুপুরে ডা. এস এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগের মতোই চিকিৎসা নিতে পারছেন।”) এছাড়াও গান গেয়ে শোনান।
স্থানীয়রা জানান, এমাদুল তাদের সুখ-দুঃখের সাথী। তার স্থায়ী কোনো রোজগার নেই। মানুষের সহযোগিতাতেই চলে তার জীবন। এলাকাবাসীর চাওয়া, এমাদুল যেন কোনো একটি কাজের সুযোগ পান, যাতে তিনি স্বাবলম্বী হতে পারেন।
তারা আরও বলেন, “আমাদের মন খারাপ থাকলে আমরা এমাদুলকে ডেকে আনি। সে আমাদের মন ভালো করে দেয়, ফ্রেশ করে তোলে। খবর শোনার জন্যও আমরা তাকে ডাকি।” এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্র জগতের বিভিন্ন অভিনেতার কণ্ঠ অনুকরণ করতে পারেন অনায়াসেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এমাদুলকে যদি কোনো কর্মসংস্থান বা সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে তার জীবন আরও সুন্দরভাবে পরিচালিত হতে পারে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
এক্সক্লুসিভ এর সর্বশেষ খবর