আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কেনাকাটা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে, বছরজুড়ে ভোটার অন্তর্ভুক্তির ক্ষমতা পেতে বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য জানান।

ইসি সচিব বলেন, "নির্বাচনী সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এজন্য টেন্ডারে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।"

ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোন সময় পর্যন্ত ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা নিয়ে বিদ্যমান আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় ভোটার তালিকাভুক্তির সময় নির্ধারণ করতে পারবে। এই সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।"

বর্তমানে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ফলে ১ জানুয়ারির পর কেউ ভোটার হওয়ার যোগ্য হলে, তাকে নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। আইন সংশোধন হলে কমিশন যেকোনো সময় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

আখতার আহমেদ জানান, ৭৬টি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের আবেদন নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এছাড়া, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে তিন দলের একাধিক আবেদন থাকায় মোট ১৪৪টি দল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এসব আবেদন প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য ২০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা বাড়বে। এজন্য তফসিল সংশোধন করতে হবে। তবে তার আগেই আদালতের আদেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচনের প্রস্তুতি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সকল কার্যক্রম চলছে।"

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণ বিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি মুদ্রণ কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন। নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা পাওয়ার সাথে সাথে ব্যালট পেপার মুদ্রণ করে মাঠ কার্যালয়গুলোতে বিতরণ করা হবে। অন্যান্য ফরম, প্যাকেট, পরিচয়পত্র, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টার, ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি সম্ভাব্য সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মুদ্রণ করে সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।

সালাউদ্দিন/সাএ