বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বৈবাহিক তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাঈম হাছান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত ফলাফলে তার রোল নম্বর ১০৯৭২৩ এবং ক্রমিক নম্বর ৪৬০।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি নাঈম হাছান আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্থানীয় চৌগাংগা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাইফুল ইসলাম ওই বিয়েতে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন। এছাড়াও, তিনি নাঈমকে অবিবাহিত উল্লেখ করে একটি প্রত্যয়নপত্র দেন, যা ব্যবহার করে নাঈম সাব-ইন্সপেক্টর পদে আবেদন করেন।
নাঈমের শ্বশুরবাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামে। তার স্ত্রীর নাম আজিজুন্নাহার সাথী।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাইফুল ইসলাম জানান, নাঈমকে দেওয়া পূর্বের প্রত্যয়নপত্রটি ভুলবশত দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বিবাহিত হিসেবে নতুন প্রত্যয়ন দিয়েছেন।
এদিকে, ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল জানান, বিষয়টি আগে জানা ছিল না। এখন জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হবে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর