শতবর্ষের সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে গ্রীসে একযোগে পাঁচটি বৃহৎ দাবানলে লড়ছে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দল। রাজধানী এথেন্সের উত্তরের কৃয়নিরি ও ড্রোসোপিগিরি এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, যা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে জ্বলন্ত কাঠের গন্ধ এথেন্সের কেন্দ্রেও পৌঁছেছে ।

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাপিয়ে অনেক জায়গায় ৪৫–৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড তাপ, শুষ্ক বাতাস ও প্রবল হাওয়ায় দাহ্য আগুন দ্রুত ছড়ায় ।

দেশব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫২টি দাবানল শুরু হয়েছে। এথেন্সের উত্তরাঞ্চলে কেবলমাত্র একটিতে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রায় ১৪৫ জন ফায়ারফাইটার, ৪৪টি ফায়ার ইঞ্জিন, ১০টি বিমান ও ৭টি হেলিকপ্টার । আরও তিনটি বড় দাহ্য স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে — ক্রেট (Crete), এভিয়া (Evia) ও কিথেরা (Kythera) দ্বীপে ।

দখলদারিবি পরিস্থিতিতে গ্রীক সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা পেয়েছে — ইতালিভর্তি বিমানবাহিনী ও চেক ফায়ার সার্ভিস দল পাঠানো হয়েছে ।

এ পর্যন্ত অন্তত ছয় জন ফায়ারফাইটারহাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অগ্নিদগ্ধ ও ধোঁয়া শ্বাসনিরোধজনিত কারণে। এর পাশাপাশি পাঁচজন, বেশিরভাগই প্রবীণ, চিকিৎসা নিচ্ছেন ।

প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোত্যাকিস এসব হামাগুড়ি ঘটনাকে “টাইটানিক লড়াই” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যারা সম্পদ হারিয়েছেন তাদের পাশে থাকবে গ্রীক রাষ্ট্র ।

আক্রান্ত এলাকাবাসীর উপর থেকে দূষণে অবাঞ্ছিত কোলাহল উপেক্ষা করার মতো নয়। অনেক এলাকা বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ হারিয়েছে, গরু-মেয়েরা দগ্ধ হয়ে মারা গেছে, বনাঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তাপপ্রবাহ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও, দুর্বল পিরিমিত অঞ্চলে দাবানলের আশঙ্কা এখনও প্রবল রয়েছে ।