
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তদন্তে আস্থা রাখার কোনো প্রশ্ন আসলে আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটির তদন্তে আস্থা রাখার কোনো প্রশ্ন আসলে আর নেই। কারণ এই প্রশাসন তাদের ক্রেডিবিলিটি হারিয়েছে। আমি চাই, শুধু ঢাকা ইউনিভার্সিটি নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে ইন্টারভেন করুক এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি আবারও কতগুলো জামায়াতিকে বসাবে তদন্ত করার জন্য, যারা তদন্ত করে বলবেন সব ঠিক হয়েছে। না আমি একটা এক্সটার্নাল তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করি। প্রয়োজনে এটা নিয়ে মামলা হওয়া উচিত, কোর্টে যাওয়া উচিত, যাতে কোর্ট একটা তদন্তের ব্যবস্থা করে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাউকে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটা মনে করি যে তারা (ঢাবি প্রশাসন) ছাত্রশিবিরের পক্ষ হয়ে কাজটা করেছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের হয়ে কাজ করার অভিযোগ খুব প্রমিনেন্টলি আছে। অনেক রকম অভিযোগ আছে। এখন যখন এই ঘটনাগুলো ঘটছে, তখন এই প্রশ্ন আরও জোরেশোরে করতে হবে।’
জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘এই নির্বাচনকে নিয়ে আমাদের বহু রকম ইকুয়েশন আছে। কেউ কেউ এটাকে আমাদের নির্বাচনের সঙ্গে বিরাট ইকুয়েশন হিসেবে হাজির করতে চান। আমি এটাকে এত ইমভার্ট হবে বলে মনে করি না। বাট এই নির্বাচনটাকে সেল করছে জামায়াতে ইসলামী, তাদের জাতীয় নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের জন্য। সুতরাং এই নির্বাচনটা আদতে ঠিক ছিল কি না, এর মধ্যে দুই নম্বরি হয়েছিল কি না, এটা জাতীয় নির্বাচনে তাদের কৌশলের সঙ্গে যেহেতু জড়িত হয়ে গেছে, এটার গুরুত্ব এখন শুধু ডাকসুতে নেই, এটার গুরুত্ব আরও অনেক বেশি হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আবারো বলি, একটা মাত্র প্রতিষ্ঠানের এই ক্ষমতা (ব্যালট ছাপানো) আছে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশে এই রকম ছাপানোর জন্য এর পেছনেও কারসাজি আছে কি না, সব খতিয়ে দেখা দরকার আছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ডাকসুকে যেহেতু জামায়াতে ইসলামী তাদের ক্যাম্পেইনের পার্ট হিসেবে ব্যবহার করছে, এটা খুবই জরুরি, খুবই জরুরি একটা সিরিয়াস নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর