
বান্দরবানের লামা উপজেলা সরকারি পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন উপজেলার সার্বিক বিষয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই প্রশংসা করেন।
বুধবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার লামা পৌঁছালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লামা থানা পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈন উদ্দিন এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা বিভাগীয় কমিশনার ও সফরসঙ্গী বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
প্রশাসনিক পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টায় বিভাগীয় কমিশনার লামা উপজেলা প্রশাসন হলরুমে দাপ্তরিক প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর বিকেল ৪টায় মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন এবং সেখানে 'বনরত্না' নামে একটি গেস্ট হাউস উদ্বোধন করেন। এ সময় চা চক্রের ফাঁকে স্থানীয় সাংবাদিকরা লামা উপজেলার পর্যটন খাত ও সাধারণ মানুষের কষ্টকর জীবনযাত্রার বিষয়ে নানা দিক তুলে ধরেন।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের মনোযোগ আকর্ষণ করে লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে লামার 'মিরিঞ্জা' সারাদেশের ভ্রমণপ্রিয় মানুষের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক লামায় আসছেন। সারাদেশের মানুষ লামাকে দ্বিতীয় সাজেক হিসেবে দেখছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মিরিঞ্জা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প খাতে অন্যতম ভূমিকা রাখবে। এই এলাকার পর্যটন বিকাশে মিরিঞ্জা ও সুখিয়া ভ্যালিতে ৫ কিলোমিটার রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে তিনি বিভাগীয় কমিশনারকে অনুরোধ করেন। টুরিস্ট পুলিশসহ সরকারিভাবে গড়ে ওঠা মিরিঞ্জা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে কাজ করা দরকার বলেও জানান তিনি।"
লামা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, "বর্তমানে বৃহত্তর লামায় কর্মসংস্থানের সকল পথ রুদ্ধ। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি থাকলেও সেখানে খেটে খাওয়া মানুষের কাজের সুযোগ নেই। অপরদিকে সাম্প্রতিককালে নির্বাহী আদেশ ছাড়া ফ্রি জোত পারমিটের সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখেছে লামা বন বিভাগ। এর ফলে শত শত শ্রমিক বেকারত্ব জীবন কাটাচ্ছেন, যা চুরি-ছিনতাই বাড়াচ্ছে। অপরদিকে গাছ সৃজনকারী জোত/বাগান মালিকরাও চরমভাবে অর্থ সংকটে পড়েছেন। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ বৈধ জোতের কাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চল প্রধানের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এই সমস্যার সুরাহা করতে তিনি অনুরোধ করেন।"
বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন এসব দাবি শান্তভাবে শোনেন এবং তিনি এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। শেষে বিভাগীয় কমিশনার লামা উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর