শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় শেরপুর- ২ নকলা নালিতাবাড়ী-আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. ফাহিম চৌধুরীকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নালিতাবাড়ী পৌর শহরের চৌরাস্তায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা এই দাবি জানান।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নুরল আমীনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীরা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে ছিলেন- বিএনপি নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল চৌধুরী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক তারা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ইলিয়াস খান এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “মনোনয়ন বঞ্চিত এসব নেতারা বিএনপির দুর্দিনে দলের পাশে ছিলেন। কিন্তু ফাহিম চৌধুরী গত ১৭ বছর ধরে নেতাকর্মীদের কোন খোঁজখবর রাখেননি। নানা আপদ বিপদে তাদের পাশে দাড়াননি। তিনি দীর্ঘ সময় বিএনপির রাজনীতি থেকে দুরে ছিলেন। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা হামলাসহ নানা দুর্বিসহ জীবন যাপন করলেও ফাহিম চৌধুরী কোন নেতাকর্মীর পাশে দাড়াননি। এমনকি তাদের কোন খোঁজ খবর রাখেননি। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আর আওয়ামী দুঃশাসনকালে দুলাল চৌধুরী ও ইলিয়াস খানসহ অন্যরা নেতাকর্মীদের পাশে থেক তাদেরকে আগলে রেখেছেন। এখন ফাহিম চৌধুরী হঠাৎ করে গত ৫ আগস্টের পর নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। আর কেন্দ্রীয় বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মাঠ পর্যায়ে ত্যাগী নেতাদের অবদানের কথা মুল্যায়ন না করে ফাহিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন না করা হলে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়ার বেশ ঝুঁকি রয়েছে। তাই দলের দুর্দিনে যারা পাশে থেকে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন তাদেরকে মুল্যায়নের দাবি জানান তারা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ নকলা নালিতাবাড়ী আসনে ত্যাগীদের মুল্যায়ন করে মনোনয়ন পরিবর্তন করলে এই আসনটি বিএনপি সহজেই পুনরুদ্ধার করতে পারবে।”
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, আলী আশরাফ ভুইয়া, উসমান গণি চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল বিএসসি, ছামেদুল মুন্সি, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ছামেদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কালিমুল্লাহ টুকুন, সুজন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান খোকন, সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বুলবুল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আপন সরকার, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সামাদ, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোক্তার হোসেন, সদস্য সচিব সোহলে রানা বাচ্চু, তাতীদলের সভাপতি আব্দুর রউফ, সদস্য সচিব সোলাইমান, উপজেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক আব্দুলাহ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল জলিল। এছাড়া, ২ নং নন্নী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুলাহ, ৩ নং রাজনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাতেম আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাদা, ৪ নং নয়াবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, ৬ নং কাকরকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজর আলী দেওয়ান, ৭ নং নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লেবু, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, ৮ নং রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সরকার, ৯ নং মরিচপুরান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শহীদ, ১০ নং যোগানিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ১১ নং বাঘবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিজল ইসলাম, ১২ নং কলসপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পবন আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম রানাসহ নালিতাবাড়ী উপজেলা, শহর, বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর