জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, দায়িত্বে অনুপস্থিতি, ল্যাব সেবা বন্ধ এবং ওষুধ বিতরণে অনিয়মসহ সার্বিক অব্যবস্থাপনা চরমে পৌঁছেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের বেশিরভাগ বিভাগেই নিয়মিত সেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
হাসপাতালের অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। যে কজন আছেন, তাদেরও অনেককে দায়িত্বপালনের সময় কক্ষে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে বিকেল ও রাতের শিফটে জরুরি বিভাগ প্রায়ই চিকিৎসকবিহীন থাকে।
৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। শয্যা সংকটে বহু রোগী মেঝেতে বা করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অবস্থা নাজুক। নার্স ও স্টাফ সংকটে সেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে।
ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক ইউনিটে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ থাকে। অনেক রোগীকে বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করাতে পাঠানো হয়। এতে রোগীর ব্যয় বাড়ছে এবং চিকিৎসা বিলম্বিত হচ্ছে।
সরকারি ওষুধ মজুত থাকা সত্ত্বেও রোগীদের হাতে যথাসময়ে পৌঁছাচ্ছে না। ওষুধ স্টোর ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ না পাওয়ায় রোগীদের অনেককে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
তদারকির অভাবে উপস্থিতি রেজিস্টার, ডিউটি রোস্টার ও রোগী ব্যবস্থাপনায় অসঙ্গতি স্পষ্ট। উপজেলা পর্যায়ের তদারকি ব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলমান।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক মানুষ এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীল। তবে সেবা ব্যাহত থাকায় রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা জেলা হাসপাতালে ছুটছেন, যা তাদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর