মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় তারা দুজনই পলাতক থাকায় আদালত তাদের অনুপস্থিতিতেই দণ্ড ঘোষণা করে। দেশে ফিরে এলে এই রায় কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত ছাত্র–জনতার বিক্ষোভ ধানমন্ডি–৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন ও সুধা সদনে হামলা–ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এর পর তার আরও কিছু সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়। রায় ঘোষণার পর এসব ঘটনা আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার গুরুত্ব পেয়েছে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বরের ঘটনা—যেদিন বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
খালেদা জিয়া সেদিন সাংবাদিকদের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন, তাকে “এক কাপড়ে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে স্বামী জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত সেই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। কিন্তু উচ্ছেদের সময় তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে; সারাদিন তাকে খাবারও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বলেছিলেন, নিরাপত্তা সদস্যরা গ্রিল কেটে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার লোকজনকে মারধর করে এবং বেডরুমের দরজায় লাথি মেরে তাকে টেনে বাইরে এনে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের স্ত্রী হিসেবে তার ন্যূনতম মর্যাদাও রক্ষা করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “সব মিথ্যা কথা প্রচার করা হচ্ছে—আমি নাকি নিজে থেকে বাড়ি ছেড়ে এসেছি। অথচ আমাকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।” সেদিন তিনি ঘটনাটির বিচার আল্লাহ ও দেশবাসীর হাতে ছেড়ে দেন।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
অন্যান্য... এর সর্বশেষ খবর