বিশ্বের দ্বিতীয় এবং দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) সংকটের অজুহাতে ২৩ মাস বন্ধ রাখার পর গ্যাস সংযোগ দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। কারখানার উপ-প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও কারখানা সূত্র জানায়, যমুনা সারকারখানা বাণিজ্যিকভাবে ১৯৯২ সালের ১লা জুলাই দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করে। এ সারকারখানাটির ৩৭০ পিএসআই চাপে ৪৬ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন হয়। এটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্পসংস্থা (বিসিআইসি) এর অধীন দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়ায় যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৩ মাস পর ২৪ নভেম্বর গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করায় ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করে কারখানার কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাস সংকটে যমুনায় ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি যমুনায় গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া উৎপাদনে যেতে ১২/১৪ দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, যমুনা সারকারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ উত্তরবঙ্গের ১৯ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করে থাকেন। দীর্ঘসময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকট দেখা দেয় বলে ডিলাররা জানান।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর