
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে এই ঘটনায় ১ জন নিহত আহত অন্তত ৪০ জন। ঘটনাটি উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপট্টি এলাকায়। রবিবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মকরম পট্টি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দবির মাতুব্বর ও বজলু মুন্সির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার রাত আটটার দিকে দবির মাতুব্বরের পক্ষের সোলেমান মাতুব্বর ও বজলু মুন্সির লোক শাহআলমের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ইট, লাঠিসোঁটা, টেঁটা ও রান্দা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
টানা তিন ঘণ্টার সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে নিহত হন কুদ্দুস মোল্লা (৬০) নামে এক বৃদ্ধ এবং আহত নারী পুরুষ সহ অন্তত ৪০ জন চিকিৎসাধীন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ তাহসিন জুবায়ের বলেন, ‘সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৬–৭ জন আহতকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কুদ্দুস মোল্লা নামে একজন মারা গেছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন বলেন,ভাঙ্গা থানার ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপট্টি এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর