
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা। বহিরাগত স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে চলছে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা। বিভিন্ন অনিয়মে জর্জরিত হাসপাতালে কোনভাবেই ফিরছে না শৃঙ্খলা। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, গর্ভবতী নারী শিশুসহ বিভিন্ন ধরনের মুমূর্ষু রোগী জরুরী সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও মিলছে দায়সারা চিকিৎসা সেবা। এমনকি বহিরাগত লোক দিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
উপজেলার শশা গ্রাম থেকে জাহিদ হাসান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান , আমার ছেলে জুনায়েদ (৬ মাস) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হলে ২৩ জুলাই রাত ১০ টার দিকে আমার স্ত্রী নগরকান্দা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগে তখন কোন চিকিৎসক ছিলো না। একটা ছেলে বসা ছিলো সে চিকিৎসক নয় তাপরও ওষুধ লিখে দেয়েছে।
জানা গেছে, চিকিৎসক সংকটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সেই সুযোগে ঘোলাটে পরিবেশে দায়সারা চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকগণ। বহিরাগত দুই জন স্বাস্থ্য সহাকরীই চালাচ্ছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বহিরাগত দুই জন স্বাস্থ্য সহকারী জরুরী বিভাগে সব সময় ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে। তবে ফ্রি সার্ভিসের আড়ালে তারা জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার করে।
এবিষয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার অভিজিৎ সাহা জানান, সালাউদ্দিন নামে একটি ছেলে জরুরী বিভাগে ডিউটিতে থাকে , সে মূলত চিকিৎসকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। কোন রোগী আসলে তার চিকিৎসা দেওয়ার কথা নয়, ডিউটিরত চিকিৎসককে ডেকে দেওয়ার কথা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সরকার জানান, তারা (বহিরাগত স্বাস্থ্য সহকারী) চিকিৎসকদের সহযোগিতা করার জন্য থাকে তবে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা নয়। তিনি আরোও বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দবির উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে এক ভুক্তভোগী আমার নিকট অভিযোগ করেছে। আমি হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর