সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তাকায় তাকায় দেখলেন ড. ইউনূস এই দেশটার বারোটা বাজিয়ে দিলেন। এই ১৪ মাসে আপনারা কেন পারলেন না? আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও আপনারা পারবেন না—আমি নিশ্চিত করে বলছি। এই ১৪ মাসে আমরা ভুগেছি, দেশের মানুষ ভুগেছে আর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি ইউনূস সাহেব যখন দেশটার বারোটা বাজিয়ে দিলেন, তখন আমরা শুধু দর্শক হয়ে দেখলাম।’
সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনে টক শো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবু হেনা রাজ্জাকী এসব কথা বলেন।
আবু হেনা রাজ্জাকী বলেন, ‘একদম কাচের মতো স্বচ্ছ কথাটা বলেছি। মুখে যত কথাই বলা হোক, বাইরে এসে অনেক সময় এমন ভান করা হয় যেন সব ঠিক আছে কিন্তু যারা বোঝার তারা বোঝে। রাজনীতির ভেতরের সত্যও বোঝা যায়, বলতে হয় না।’
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐক্যের অভাব নিয়েও কথা বলেন তিনি। রাজ্জাকীর ভাষায়, ‘যদি ঐক্য থাকত, তাহলে প্রশ্নই উঠত না। কিন্তু ঐক্য নেই, তাই প্রশ্ন আসছে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা আসলে রাজনীতি করেন না; তারা শুধু ক্ষমতায় যেতে চান। এমপি হওয়ার পরও তারা জানেন না সংবিধান অনুযায়ী তাদের প্রকৃত কাজ কী।
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের জনগণের কাজে যে দায়বদ্ধতা প্রয়োজন তা অনুপস্থিত। আমি দাবি করি, রাজনীতি মানে দেশ ও জনকল্যাণ। যদি কেউ ক্ষমতায় গিয়ে কেবল লুটপাটে মেতে ওঠে, তাহলে তাকে ক্ষমতায় পাঠানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও বক্তব্য রাখেন রাজ্জাকী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের দুটি দিক থাকে—অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক।
আমরা বাইরের ঝামেলা শুনি—ভারতের সঙ্গে পানি, আমেরিকার সঙ্গে বন্দর, চীনের বিনিয়োগ কিন্তু রাষ্ট্রের মূল শক্তি হলো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা। রাষ্ট্র ও জনগণ—এই দুইয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব।’রাজ্জাকী বলেন, ‘নির্বাচন চাওয়াটা কোনো অপরাধ নয় বরং জনগণের মৌলিক অধিকার। যারা নির্বাচন চায়, তারা অপরাধী নয় বরং তারাই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।’
সূত্র- কালের কন্ঠ।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
খোলা কলাম এর সর্বশেষ খবর